ম্যাট্রিমোনিয়াল সাইট গুলো অনেকটা সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইল এর মতোই
অনেকে মনে করেন, ম্যাট্রিমোনিয়াল সাইট গুলো অনেকটা সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইল এর মতোই । কারণ অবশ্য যুক্তিযুক্ত বটে । এখানে নিজের বা যিনি পাত্র বা পাত্রী তার ব্যাপারে সব ধরণের তথ্য দিতে হয় । তার উচ্চতা থেকে শুরু করে ধর্মীয় মতাদর্শ, শিক্ষাগত যোগ্যতা, জীবন সঙ্গী হিসেবে কেমন মানুষ পছন্দ, পারিবারিক বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য সহ আরো কিছু খুঁটিনাটি বিষয় যা না জানলেই নয় ।
ওয়েবসাইট গুলো আরো কয়েক বছর আগে যেমনি থাকুক, এখন এগুলো অনেকটাই ইউজার-ফ্রেন্ডলি হয়েছে । তাই তো এখন পাত্র বা পাত্রীর মা-বাবার অনায়াসেই সাইট গুলোতে প্রোফাইল খুলে তথ্য দিতে পারছেন, সেখানে এ যুগের ছেলে-মেয়েদের কথা বলাই বাহুল্য, কেননা তারা তো সব ধরণের প্রযুক্তিতে অভ্যস্ত ।
পারিবারিক বিবাহের অনলাইন রূপ
আমাদের দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলে পারিবারিক ভাবে বিবাহের চল এখনো বহুল প্রচলিত । তবে অনলাইন ম্যাট্রিমোনিয়াল সাইট এর যুগে, এটি ঘটে একটু ভিন্ন আঙ্গিকে । সাইট গুলোতে পাত্র/পাত্রীর প্রোফাইল তাদের মা বাবারাই তৈরী করে থাকেন নিজের ছেলে বা মেয়ের সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য দিয়ে । এটা অনেকটা পত্রিকায় পাত্র-পাত্রী সন্ধানের বিজ্ঞাপনের মতোই । অনেকে বিশের কোঠার মাঝামাঝি তে গিয়ে মনে করেন যে, বাবা-মায়ের সিদ্ধান্ততেই বিয়ে করবেন, তাদের জন্য ম্যাট্রিমোনিয়াল সাইট গুলো অনেক সহযোগী হয় ।
নিজেই নিজের সঙ্গী খোঁজার মাধ্যম
পশ্চিমা দেশের ডেটিং এপ গুলোর মতো ম্যাট্রিমোনিয়াল সাইট গুলোতে অনেকেই নিজের সঙ্গীকে খুঁজে পেয়েছেন, তবে তা গড়িয়েছে পরিণয়তে, অর্থাৎ বিয়েতে । এক্ষেত্রে পাত্র বা পাত্রী সন্ধানীরা নিজেরাই নিজেদের প্রোফাইল বানিয়ে আপলোড করেন । সোশ্যাল মিডিয়া সাইট গুলোর মতো নিজের সম্পর্কে অনেক রকমের তথ্য দেন যেগুলা ওয়েবসাইট এর এলগোরিদম অনুযায়ী তার সাথে মাইল এমন মানুষের সাজেশনে আসবে ।
বর্তমানে ম্যাট্রিমোনিয়াল সাইট গুলো অনেক বড় সহায়ক হিসেবে কাজ করছে বিবাহের ক্ষেত্রে । গ্লোবালাইজেশন এর এই যুগে যখন দেশের অনেকেই বিদেশ পাড়ি জমান, বিশেষ করে তাদের জন্য স্বদেশী কাউকে খুঁজে পেতে ম্যাট্রিমোনিয়াল সাইট গুলোর জুড়ি মেলা ভার ।